Wednesday, January 20, 2016

নারীকে রক্ষা করতে হবে , সমাজ আর পরিবার সুস্থ রাখার জন্য ।

 অপরাধ বিজ্ঞানে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ কে একটি পৃথক শ্রেণির অপরাধ বলে বিবেচিত হয় । Offence against women , নরনারী মধ্যে অপ স্পৃহা মত যৌন স্পৃহা থাকাতে নারীর বিরুদ্ধে বিবিধ যৌন জ অপরাধ সমাধা হয় । অপরাধ স্পৃহা আমরা উত্তরাধিকার সুত্রে পেয়েছি । যৌন স্পৃহা আমাদের পূর্ব পুরুষের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি আর যে বৃত্তি যত পুরাতন তার শক্তি তত বেশি । আমরা সভ্য মানুষ অপরাধ স্পৃহা প্রতিরোধ শক্তি দ্বারা প্রদমিত করলেও যৌন স্পৃহা কে বংশ রক্ষার নামে উহাকে আমরা বিবাহের পথে নিয়ন্ত্রন করেছি । এক্ষেত্রে একটা যৌন স্পৃহা কৃত্রিম উপায়ে জাগানো যায় ।  নরনারী দের সুপ্ত বাসনা বাক প্রয়োগ বা প্রলুব্ধ করে সহজে যৌন স্পৃহা জাগিয়ে অপকর্ম কারিরা সুযোগ গ্রহণ করে । নারিদেহের স্পর্শে তার যৌন প্রদেশে সইয়ে সইয়ে তাদের যৌন স্পৃহা জাগ্রত করে । নারীরা উহাকে অনিচ্ছা কৃত ভাবে অসাবধান তা বশে ঘটেছে মনে করে । লজ্জাবশতঃ আপত্তি করেন না ।
কিন্তু যৌন স্পৃহা জাগ্রত হতে থাকলে অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যায় ।
বহু যুবক দুর্বৃত্ত মেয়ে দের ভালবাসা ও পছন্দের অছিলা দেখিয়ে মেয়েদের উপর দৈহিক সুযোগ নিয়ে থাকে । নরনারী র অপরাধ স্পৃহা কিছু বীজ কোষে কিছু দেহ কোষে থাকে । অপরাধ স্পৃহা মত যৌন স্পৃহা দেহ কোষে সুপ্ত বা জাগ্রত থাকে ।
সুপ্ত অবস্থা থেকে তাকে জাগ্রত করা হয় । মানুষের একই প্রতিরোধ শক্তি অপরাধ স্পৃহা ও যৌন স্পৃহা সমভাবে প্রতিরোধ করে । পুরুষের তুলনায় নারীদের যৌন স্পৃহার শক্তি বেশি । প্রতিরোধ শক্তি বেশি হবার ফলে সব দুর্ভগ নারীদের ।
যৌন জ অপরাধ দুই প্রকারের ১ নারীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ২ নারীর সহযোগিতায় । নারীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপরাধে জন্য সেই নারী তার অভিভাবক দের অসাবধান নতা তৎসহ রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থা অক্ষমতা দায়ী
। আর নারীর সহযোগিতায় কৃত অপরাধের জন্য নারী ই অনেকাংশ দায়ী  ।
একজন স্নেহ ময়ই মাতা ,ভক্তিমতি কন্যা , প্রেমময়ই স্ত্রী কেন বিপথ গামি কেন হয় এই প্রশ্ন বহু জনের মনে বার বার উদয় হয়েছে ।
নারীর দৈহিক ও মানসিক দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে পুরুষ অপরাধী রা । প্রকৃতি দ্বারা সৃষ্ট পুরুষকে দায়িত্বশীল হিসাবে রুপে হাজির করতে হবে ।অন্য দিকে নারী এগোলে পুরুষ কে পিছিয়ে আসতে হবে ।সমাজ পুরুষ কে ক্ষমা করলেও ব্যভিচারী নারীকে ক্ষমা করেনা ।

অপরাধ বিজ্ঞান

ক্রিমিনলজি পৃথিবীর সব দেশে মুলতঃ এক রুপ হলেও দেশ ভেদে কিছু বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য থাকে । আমাদের সমাজের অপরাধী রা সামাজিক ও ব্যবস্থার অপ ফসল ।
অপরাধ বিজ্ঞানের ১ মন স্তাত্তবিক ২ ব্যবহারিক ৩ প্রয়োগ বিদ্যা
আমার মনে অপরাধ বিজ্ঞানের জ্ঞান পুলিশ, বিচারক , ও প্রশাসক দের মত সাধারন নাগরিক দের জানা উচিত । পুলিশ কর্মী রা সাধারন নাগরিকের অপেক্ষা বিশেষ কোন ক্ষমতার অধিকারী নন । গৃহ তল্লাস প্রভৃতি কয়েক টি বিষয় ছাড়া পুলিশের সকল ক্ষমতার অধিকারী নাগরিকরা । তবে কিছু অসাধু পুলিশ নিজেকে নাগরিকদের থেকে বেশি ক্ষমতার অধিকারী মনে করে । নাগরিকদের করনীয় কাজ পুলিশ করে ।  পুলিশ নামে একদল বেতন ভুক ব্যক্তিকে সমাজ বা রাষ্ট্র বিশেষ শিক্ষা ও বিশেষ পোশাকে ভূষিত করেছে ।
চোখের সামনে কোন সাংঘাতিক পুলিশ গ্রাহ্য কোন অপরাধ নাগরিক তা নিবারনের কাজ করতে ও তাকে আটক করার অধিকার নাগরিকের আছে । আবার একটি বিষয়ে নাগরিকের ক্ষমতা পুলিশ অপেক্ষা বেশী তা হল পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি আইনত গ্রাহ্য নয় কিন্তু নাগরিকের স্বীকারউক্তি স্বীকৃত ।
এবার আসি প্রকৃত অপরাধী কাকে বলে ?
১ গুরুতর ২ সর্ব জন স্বীকৃত ৩ পূর্ব পরিকল্পিত ৪ আদর্শ হীন ৫ অ সামাজিক ৬ জ্ঞানত ৭ স্বার্থ যুক্ত ৮ স্বেচ্ছা কৃত ।
সমাজের ধৈর্য এর বহির্ভূত অপ্রীতিকর কাজ হল অপরাধ । এই জন্য অপকর্ম কে ১ অন্যায় ২ পাপ ৩ অপরাধ এই তিন ভাবে ভাগ করা হয়েছে ।
অন্যায় > পাপ > অপরাধ
মানুষের সহ্যা তিত গুরুতর জ্ঞানতঃ ও স্বেচ্ছা কৃত ক্ষতিকারক আদর্শহীন স্বার্থ যুক্ত অসামাজিক পূর্ব পরি কল্পিত ও সর্ব জন গ্রাহ্য অকাজ কুকাজকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তে অপরাধ বলে ।
আমাদের মধ্যে অপ স্পৃহা তথা মন্দ প্রেরনা রুপ বৃত্তি আছে । আর এই প্রবণতা মানুষ তার জৈব কারনে প্রাপ্ত । যুগ যুগ আগে আদিম মানুষের সমাজে আধুনিক মানুষের বহু অপ কর্ম অপরাধ রুপে বিবেচিত হয়নি । ডাকাতি রাহাজানি বলাৎকার ব্যভিচার প্রভৃতি সে যুগে বীরত্বের কাজ হিসাবে প্রশংসিত হত । কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সাথে প্রাচিন যুগের বহু ধারনা আজকে পরিতক্ত হয়েছে ।
                                              অপরাধ স্পৃহা
দ্রব্য স্পৃহা -------------------------------------------------------------শোনিত স্পৃহা
 সম্পত্তি র বিরুদ্ধে অপরাধ                                   ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ
                                                                      -----------------------------------------
                                                                   অ যৌন জ                    যৌন জ

হিন্দুদের মতে কাম ক্রোধ লোভ মোহ হিংসা মানুষকে যে কোন সময়ে অপরাধী করে তুলতে পারে ।
মানুষের মাঝে প্রতিরোধ শক্তি নিহিত আছে ১ ভয় ভাবনা ২ শিক্ষা দীক্ষা ৩ বংশানুক্রম । আর এর সমূহ শক্তি মানুষের প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে ।
          পরিস্থিতি > প্রবণতা
      ----------------------------
     প্রতিরোধ শক্তি